জামাল উদ্দীন- কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক দু’টি অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার ইয়াবা ২৪০রাউন্ড গুলি, রকেট বোম্ব, গ্রেনেড ও কম্পাসসহ আটক-২ টেকনাফে বিজিবি জওয়ানেরা ২০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১১ হতে আনুমানিক ৩০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে নাফ নদীর বাংলাদেশের জলসীমায় হ্নীলা চৌধুরীপাড়া খরেরদ্বীপ এলাকা ১০ ঘটিকায় টহল দল সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে নাফ নদী দিয়ে মায়ানমার জলসীমা পার হয়ে খরেরদ্বীপে আসতে দেখে। উক্ত ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় পূর্ব হতেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহল দল তাকে চারদিক থেকে ঘেরাও করতঃ আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তির হাতে থাকা একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামীর নাম ও ঠিকানা ১ মোঃ নুর কবির (৩৫) পিতা-মোঃ গোলাম নবী, ১১ নম্বর বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্প, থানা-উখিয়া,
এছাড়া অপরদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একই দিন রাতে অত্র টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিশেষ ২০অক্টোবর ভোররাত ৪টার দিকে বিশেষ চোরাচালান প্রতিরোধ টহল দল নিজস্ব গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় চোরাকারবারীরা মায়ানমার হতে আগ্নেয়াস্ত্রের গোলা-বারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি এনে বসত-বাড়িতে মওজুদের গোপন সংবাদ ভিত্তিতে শাহপরীরদ্বীপ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ৮শ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে জালিয়া পাড়ায় একটি বাড়ীতে অভিযানে যায়। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত বাড়ি হতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহল দল শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার মৃত সোলতান আহমদের পুত্র মোঃ শফিউল আলম (৫৫) কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে আটককৃত চোরাকারবারীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বসত বাড়ির আঙ্গিনায় বালির বস্তার নিচে লুকায়িত অবস্থায় ২টি ব্যাগের ভিতর হতে ২শ ৪০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১টি রকেট বোম্ব, ২টি গ্রেনেড এবং ১টি কম্পাস উদ্ধার করা হয়। সে উক্ত আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাবারুদ, গ্রেনেড, রকেট বোম্ব ও কম্পাস মায়ানমার হতে পাচার করে নিজের হেফাজতে রাখে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) জানান,আটক আসামীকে অবৈধ ৩০ হাজার ইয়াবা আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাবারুদ, গ্রেনেড, রকেট বোম্ব ও কম্পাস চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।