
শীতকে বরণ করতে চলছে হেমন্তের প্রস্তুতি। কিন্তু এ আয়োজনে সবুর সইছে না আগন্তুকের। তাইতো কার্তিকের শুরুতে এসেই দরজায় কড়া নাড়ছে কুয়াশার চাদর মোড়ানো শীত। দিনে রৌদ্রজ্জ্বল, রাতে নামছে কুয়াশা আর হিম শীতল বাতাস। ভোরে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট। ধান ক্ষেতগুলোতে মাকড়সার বাসায় আটকে যায় শিশির কণা। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যাও দেখা যাচ্ছে এমন চিত্র। ভোরে কিংবা সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে হিম ভাবের আমেজ যেন এক অন্য অনুভূতির জানান দিচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, রাজধানীতে সহসাই শীত আসছে না। সকালে কুয়াশা পড়লেও দিনের বেলা তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর থাকছে। ফলে দিনের বেলা বেশ গরম লাগে। কিন্তু রাতের বেলা তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে। বর্তমানে রাতের তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকছে। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় এ সময়টায় ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। জানা গেছে, সাধারণত তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শীত পড়েছে বলে গন্য করা হয়। বর্তমানে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামছে। তবে রাজধানী ঢাকায় মধ্য নভেম্বরের আগে শীত আসছে না।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, রাজধানীতে পুরোদমে শীত আসতে এখনও সময় লাগবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শীত শুরু হবে। তবে দেশের উত্তরবঙ্গের রংপুর ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যেই শীতের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। এসব অঞ্চলে এবার শীতের তীব্রতা একটু বেশি থাকবে। তিনি বলেন, বর্তমানে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে। এটা কেটে গেলে আরও একটু শীত শীত অনুভুত হবে।
এদিকে রাজধানীর ফুটপাতে একটু হাটলেই চোখে পড়ে শীতের পিঠা বিক্রির দৃশ্য। কুয়াশাচ্ছন্ন গোধূলী। আকাশের রক্তিম আভা শেষ হতে না হতেই ফুটপাতে জমে উঠছে পিঠার দোকানগুলো। হাওয়ায় ভাসছে মিষ্টি ভাপাপিঠার গন্ধ। আর গরম চিতই তো আছেই।
আকার ভেদে ভাপাপিঠা ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছে দোকানিরা। আর ডিম চিতই বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায় এবং শুধু চিতই ১০ টাকায়। পিঠার এসব ভাসমান দোকানগুলোতে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে রমরমা বেচাকেনা। যত দিন প্রকৃতিতে শীত থাকবে তত দিনই দেখা মিলবে এসব পিঠার দোকান।