
আগামী বছরের (২০২৫ সাল) সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এতে ২৬ দিন সরকারি ছুটি ভোগ করবে বাংলাদেশ, যার মধ্যে ৯ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ১২ দিন থাকবে সাধারণ ছুটি, বাকি ১৪ দিনের ছুটি হবে নির্বাহী আদেশে। এতে আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল আজহায় ছয় দিন ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি পাঁচ দিন করা হয়েছে।
এছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি দুই দিন করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই ঈদে সাধারণ ছুটি এক দিন করে। আর ঈদের আগে, পরে মিলিয়ে বাকি দিনগুলো নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাধারণ ছুটি বিজয়া দশমীর দিন। তার আগে নবমীর দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।
বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। সূত্রমতে এই তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে ঈদের ছুটি তিন দিন। তবে কোনো কোনো বছর নির্বাহী আদেশে তা বাড়ানো হয়েছিল। এ ছাড়া এই বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বর্তমান সরকার নির্বাহী আদেশে ছুটি এক দিন বাড়িয়েছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটির বাড়ানোর প্রস্তাব করে। এটি অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
অন্তর্বর্তী সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যুর দিন ১৭ মার্চ ও ১৫ অগাস্ট জাতীয় দিবস হিসেবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ওই দুই দিনের সাধারণ ছুটিও আর থাকছে না। জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষে আগামী বছর যে ১২ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে, তার মধ্যে তিন দিন শুক্রবার এবং দুই দিন শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে, তার মধ্যে দুই দিন শুক্রবার এবং দুই দিন শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। চলতি ২০২৪ সালে সরকারি ছুটি ছিল সব মিলিয়ে ২২ দিন, যার মধ্যে সাধারণ ছুটি ছিল ১৪ দিন।
ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষে সরকারি কর্মচারীদের বছরে অনধিক তিন দিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগের সুযোগ রয়েছে। তবে সেজন্য আগে থেকে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উদযাপনের জন্য দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটি কাটানোর সুযোগ রয়েছে।
অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ হলো- (ক) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এর মধ্যে ৫টি ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন পড়েছে (৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)। (খ) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি; এর মধ্যে ৪টি ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন পড়েছে (২টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)। (গ) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বছরে অনধিক ০৩ দিনের এচ্ছিক ছুটি। (ঘ) পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে ২ দিন ঐচ্ছিক ছুটি। এ ছুটির মধ্যে একটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন পড়েছে (১টি শনিবার)। (ঙ) ১২ দিন সাধারণ ছুটি ও ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রস্তাবিত মোট ছুটি ২৬ দিন।