মো আরাফাত হোছাইন,বিশেষ প্রতিনিধি।।
পেকুয়া উপজেলা টৈটং উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা চালাচ্ছে একটি মহল। এতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট ও মান উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম ( ক্রীড়া শিক্ষক)।বিশেষ সূত্রে জানা যায়,২০০৮ সালে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সকলের শ্রদ্ধাভাজন জাকের হোছাইন স্যারকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপসারণ করে রাশেদুল ইসলাম ( ক্রীড়া শিক্ষক) নিজেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করেন এবং মানসিক হয়রানির মাধ্যমে সাবেক প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জাকের হোছাইনের মৃত্যু নিশ্চিত করে পুরো বিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তার সৃষ্টি করেন। তখন থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১ যুগ ধরে বিদ্যালয় পরিচালনা সংক্রান্ত মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে লাঠি কমিটির মাধ্যমে সর্বোচ্চ পেশি শক্তি ব্যবহার করে কর্মরত শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে এবং নিজের ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ের তহবিল লুটপাটে জড়িত থাকেন। পক্ষপাত মূলক আচরণ করে এবং শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনাসহ পুরো সমাজে এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস ও লেখাপড়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করে আসছিল।আরাও জানা যায়, ২০১৯ সালে মার্চের দিকে স্বপদে বহাল থেকে নীতিমালা বহির্ভুত নিজের পছন্দমত প্রার্থী নিয়ে কোরাম পূরণ করে অবৈধভাবে তার চাচা শ্বশুর শীলখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর হোসেনের জোর তদবিরে মোটা অঙ্কের লেনদেনের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ফ্যাসিবাদ সরকারের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর আপোষে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদটি দখল করে নেন। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের পর থেকে এক স্বার্থন্বেষী মহলের ইন্দনে বিদ্যামান পরিস্থিতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলামের তত্বাবধানে পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে অধ্যানরত শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে মব জাস্টিস পদ্ধতিতে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ ধ্বংসের পায়তারা চালাচ্ছে।এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সচেতন অভিভাবক, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, প্রাক্তন সুশীল শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজ, সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।এবিষয়ে জানাতে চাইলে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সাবেক এমইউপি সদস্য টিপু সুলতান বলেন, একটি স্বার্থন্বেষী মহল প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং স্কুলের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে এসব পায়তারা চালাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। তাতে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।